করোনায় আক্রান্ত হলেই রাখা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে,জানেন কী করা হয় কোয়ারেন্টাইনে রেখে?

#কলকাতা: করোনা নিয়ে এই মুহূর্তে আতঙ্কে গোটা বিশ্বে৷ ভারতেও থাবা বসিয়েছে মারণ করোনা৷ এই রোগের কোনও রকম চিকিৎসা নেই৷ তাই সংক্রমণ নিয়ে চিন্তা আরও বেড়েছে৷ করোনা থেকে বাঁচতে একমাত্র উপায় পরিচ্ছন্নতা৷ আর যাদের শরীরে করোনা বাসা বেঁধেছে বলে সন্দেহ, তাদের রাখা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইনে (Quarantine)৷ করোনা ভাইরাসের দৌলতে কোয়ারেন্টাইন শব্দটি খুবই পপুলার হয়েছে৷ কিন্তু কী এই কোয়ারেন্টাইন? কীভাবেই বা এখানে রাখা হয় আক্রান্তদের?

চিকিৎসক শুদ্ধাসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন যে কোয়ারেন্টাইন হল এমন একটি বিশেষ ঘর যাকে নেগেটিভ প্রেশার রুমও বলা হয়৷ নেগেটিভ প্রেশার রুম এমনভাবে তৈরি করা হয় যা পুরোপুরি sealed৷ অর্থাৎ সেই ঘরটি থেকে কোনওভাবে হাওয়া বাইরে আসতে পারে না৷ এভাবে ঘরটিকে সুরক্ষিত রাখা হয় যাতে সেই ঘর থেকে কোনও জীবাণু বাইরে না আসে৷ এরফলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা আক্রান্তদের থেকে অন্যরা সুরক্ষিত থাকেন৷

মূলত বিমানবন্দর বা রেলস্টেশনেই তৈরি করা হয়েছে এই বিশেষ ব্যবস্থার ঘর৷ বিদেশ থেকে আসা যাত্রী বা পর্যটকদের প্রথমে শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ কোনও রকম করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলেই তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে, যাতে তাদের শরীর থেকে অন্য কারও শরীরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে৷ মূলত ২ সপ্তাহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে আক্রান্তদের৷ তার মধ্যে সুস্থ হয়ে গেলেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে রোগীদের৷ অন্যথা মিলছে বাড়তি চিকিৎসা৷ যেসব চিকিৎসা কর্মী কোয়ারেন্টাইনে ঢুকছেন তাদের জন্যও থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা৷

আপাতত বিমানবন্দর, রেলস্টেশান ছাড়াও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতলে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা রয়েছে৷ কলকাতার অ্যাপোলে হাসপাতালেও রয়েছে এমন ৬টি বিশেষ রকমের ঘর৷

Post a Comment

أحدث أقدم