স্টাফ রিপোর্টার, জলপাইগুড়ি: রসনা বড় বালাই। করোনা আতঙ্কের কোপ পড়েছে মুরগির মাংসের বাজারে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই আতঙ্কের জেরে কমছিল মুরগির মাংসের দাম। যদিও চিকিৎসকরা সাফ জানিয়েছিলেন, করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মুরগির মাংসের কোনও যোগ নেই। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী মহল। কারণ, সপ্তাহান্তে পাতে মুরগির মাংস না পড়লে মুখে ঠিক রুচি আসে না ভোজন রসিক বাঙালির। সপ্তাহের শেষ শনিবারে ও রবিবারে করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে, মাংস কেনার হুড়োহুড়ির ছবি ধরা পড়ল জলপাইগুড়ি বাজারে।
এদিন জলপাইগুড়ি ডেঙ্গুয়াঝাড় হাটে মাত্র ১৫০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছিল ব্রয়লার মুরগী। প্রায় ৫ কিলো ওজনের আস্ত মুরগি কিনতে এদিন রীতিমত লাইন পরে যায় বাজারে। কেউ নিলো গোটা, আবার কেউ কিনলো ভাগাভাগি করে। ফলে সব মিলিয়ে বোঝা গেল, মুরগিতে যে করোনা নেই সেই বিশ্বাস ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন সাধারণ মানুষ।
যদিও, করোনাভাইরাস নিয়ে গুজবের জেরে বেশকিছু দিন ধরে এই জেলায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি কমে গিয়েছে। সম্প্রতি, ধূপগুড়ি বাজারের একাংশ মুরগি বিক্রেতারা লোকসানের জেরে মেরে ফেলে প্রচুর পরিমানে মুরগী। সেই সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর সম্প্রচারের নিন্দার ঝড় বয়ে যায় বিভিন্ন মহলে। মুরগিতে যে করোনাভাইরাস নেই সেই বিষয়েও মানুষকে বোঝাতে প্রচার শুরু করে জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন সংস্থা। এই অবস্থায় বেশ কম দামে মাংস কিনতে ভিড় লক্ষ করা যায় দোকান গুলিতে।
এই বিষয়ে মাংস বিক্রেতা মইদুল হোসেন জানান, মাংস নিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক কাটছে ক্রমশ। যার ফলে বিগত দিন গুলির তুলনায় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মাংসের বিক্রি-বাটা। যদিও এই সুযোগে বেশ কম দামে মাংস মেলায় খুশি এই জেলার ক্রেতারাও।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে একটি গুজব মেসেজ আকারে ভাইরাল হয়েছিল। সেই মেসেজে বলা হচ্ছিল, মুরগির মাংসের দ্বারাই সংক্রমিত হচ্ছে করোনা ভাইরাস। কিছু ইনফেকটেড মুরগির ছবিও শেয়ার করা হয়।
إرسال تعليق